বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভোটের কথা বললে অনেকে অসন্তুষ্ট হন। তাদের বলতে চাই- হ্যাঁ, আমরা ভোট চাই এই কারণে, যাতে আমরা সঠিক লোক নির্বাচন করতে পারি। যে সংসদে গিয়ে আমাদের জন্য কাজ করবে।
আমরাও সংস্কার চাই। ভোট আমরা চাই, কেউ যদি চাদাঁবাজি করবে তাদের ধরে পুলিশে দিবেন। দেশটা কারো বাপের না। দেশে আর চাদাঁবাজি খুন চাইনা।
আজ সোমবার বিকালে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ আব্দুল হামিদ সভাপ্রধানের নেতৃত্বে ও সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাবুব হোসেন তুহিন এর সঞ্চালনায় ঠাকুরগাঁওয়ের শীবগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আমরা কারও উপরে প্রতিশোধ নিতে চাই না, দেশটা আপনার দেশটাকে ভাল রাখতে যা যা করা দরকার আপনারা করবেন। দেশটাকে ভাল রাখতে হলে আরও একবার যুদ্ধ করতে হতে আপনারা প্রস্তুত আছেনতো না। দেশের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র রুখতে দলের নেতাকর্মীসহ সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ওপারে পালিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করছে, চক্রান্ত করছে, মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। এই দেশে নাকি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। আমরা এই তাঞ্চলের মানুষ শান্তিপ্রিয়। এখানে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই একসঙ্গে বাস করি। পুজোয় এখানে মন্দির পাহারা দিয়েছে আমাদের লোকজন। তারা আমাদের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে বিপদে ফেলতে চাচ্ছে। আমাদের এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, কেউ কেউ বলেন- একাত্তর ভুলে যাবে। একাত্তর আমরা ভুলতে পারি না। একাত্তরে আমাদের একটা স্বাধীন দেশের জন্ম হয়েছে। আমি আমার নিজেকে চিনতে পেরেছি একাত্তর সালে। আমরা আমাদের জন্য একটা ভূখণ্ড তৈরি করতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, আমি আহব্বান জানাতে চাই আসুন আমরা একটা সুযোগ পেয়েছি, এই সুযোগটাকে কাজে লাগাই। আবার আমরা বাংলাদেশকে সব বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে গড়ে তুলি। আমাদের মাথায় যেন কেউ কাঁঠাল ভাঙতে না পারে, সেজন্য সজাগ থাকি।
মির্জা ফখরুল বলেন, যারা লুটপাট করে তাদের সরিয়ে দিতে হবে। কেউ যেন আমাদের দেশের ওপর অন্যায়ভাবে হাত না দেয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আওয়ামী লীগ আমাদের ওপর যে ভোটের কথা বললে অত্যাচার করেছে, তা আর কেউ করেনি। আলেম- ওলামাদের ফাঁসি দিয়েছে। আমাদের রাজনীতিবিদদের ধরে নিয়ে গেছে, জেলে দিয়েছে। এইভাবে কেউ যেন আর অন্যায় করতে না পারে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। এখন যেন কেউ দেশকে বিভক্ত করতে না পারে। আমরা সবাই এক। আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমরা সবাই বাংলাদেশের উন্নয়ন চাই। এভাবেই আমাদের কাজ করতে হবে।
প্রায় ১৫ বছর একটি ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট দানব সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ছাত্রদের ধন্যবাদ দিতে চাই তারা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে আবার সুযোগ তৈরি করেছে, যেন আমরা আবার আবার দেশকে গণতান্ত্রিকভাবে গড়ে তুলতে পারি।
সদর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে সভায় অন্যদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন। পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ তারেক আদনান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল মহিলা বিএনপি সহ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।